শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের উদ্যোগে নকলায় ইউপি নির্বাচনে শেরপুর প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক,
নিউজ২৪ টেলিভিশন ও আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উদ্ভুত অবস্থার নিরসন হয়েছে। এ উপলক্ষে ১ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত অবস্থার আলোকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় মেয়র এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন এবং নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ দুঃখ প্রকাশ করায় বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নিরসন হয়। একইসাথে মেয়র হাফিজুর রহমান লিটনের অনুসারীরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসকল আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছে তা উঠিয়ে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মলয় মোহন বল, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত,
সাংবাদিক মাসুদ হাসান বাদল, জুবাইদুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নকলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মনসুর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান, আব্দুর রশীদ এবং সাংবাদিকদের মধ্যে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, এস এম শহিদুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান মোরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ রওশন কবীর আলমগীর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সোহেল রানা, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হাসান রাব্বী, সিনিয়র সাংবাদিক রফিক মজিদ, জাহিদুল খান সৌরভ, তারিকুল ইসলাম, নাইম ইসলাম, বুলবুল আহমেদ, শাহরিয়ার শাকির, হাসানুল বান্না সিফাত, রাজাদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, শেরপুরে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাংবাদিকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আমরা চাই সবাই মিলে সুন্দর শেরপুর গড়ে তুলব। এজন্য কোনভাবেই অনভিপ্রেত ঘটনা আমাদের কাম্য নয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর আমি শেরপুরে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে দেখেছি এ জেলার সাংবাদিকগণ সবসময়ই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছেন। আমি আমার দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে যোগদান করার জন্য শেরপুর থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সভায় শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, ২৮ নভেম্বর সৃষ্ট ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝির মধ্যে হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এজন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর নকলা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে সাংবাদিক জুবাইদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শেরপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি শুরু করলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সম্মানজনক নিস্পত্তি হওয়ায় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।